দীপু মাহমুদ জন্ম ২৫ মে ১৯৬৫, নানাবাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার গ্রাগপুর গ্রামে। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে দাদাবাড়ি হাটবোয়ালিয়া গ্রামে। বেড়ে ওঠা স্নেহময়ী, কালিশংকরপুর, কুষ্টিয়া। পিতা প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল হুদা, মা হামিদা বেগম। পড়াশোনা করেছেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতায়। আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটানব্বইটি। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, সায়েন্স ফিকশন সাহিত্য পুরস্কার, এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার, শিশুসাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলী স্বর্ণপদক, নবাব সিরাজউদ্দৌলা স্বর্ণপদক, আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার, সাহিত্য দিগন্ত লেখক পুরস্কার, আবু হাসান শাহীন স্মৃতি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদকসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন সম্মাননা। স্ত্রী রূপা মাহমুদ, যমজ দুই পুত্রসন্তান খালিদ বিন মাহমুদ ও গালিব বিন মাহমুদ ।
জন্ম (১৯৭৮) প্রাবন্ধিক ও গবেষক। আধুনিক বাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণ ও বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস, মানববিদ্যা ও মুক্তিযুদ্ধ তাঁর অন্বেষার বিষয়। গ্রন্থসংখ্যা ২৮। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগে ‘আবদুল রসুল ও বাংলার রাজনীতি’ বিষয়ে এমফিল। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগে ‘বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারা : ১৯০১-১৯৪৭’ বিষয়ে পিএইচডি গবেষণারত। গবেষণা, জীবনী, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথার মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য, শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক, ভাষাসংগ্রামী মাহবুব উল আলম চৌধুরী, কুমিল্লায় ভাষা আন্দোলন, বাঙালির সংস্কৃতি সাধনা, বেলতলী গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস : কুমিল্লা জেলা, মুক্তিযুদ্ধে সংবাদপত্র : আমোদ, ১৯৭১ : কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স, স্বাদু সান্নিধ্য, রবীন্দ্রনাথ : গল্পসল্প। সম্পাদিত বই- মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদন, মুক্তিযুদ্ধের উপেক্ষিত বীর যোদ্ধারা, কুমিল্লার সমাজ ও সংস্কৃতি, মুনতাসীর মামুন রচনাবলি (৮ খণ্ড), হালী মোস্তফা রচনাসংগ্রহ। সাংবাদিক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, নওশাদ কবীর, রজতনাথ নন্দী, শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস, শহীদ বুদ্ধিজীবী লুৎফর রহমান, রাজনীতিক সেলিনা বানু ও আমীর হোসেনের ওপর স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা করে মানববিদ্যা ও স্থানীয় ইতিহাস-চর্চায় ভূমিকা রেখেছেন। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সহযোগে সম্পাদনা করছেন গণহত্যা-নির্যাতন নির্ঘণ্ট গ্রন্থমালা (১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভস ও জাদুঘর, খুলনা)।