Notice Update

বাদল সাহা শোভনের জন্ম ১৯৮১ সালের ১৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে। বেড়ে উঠেছেন তিস্তা, ধরলা, স্বর্ণামতি নদীবিধৌত লালমনিরহাট জেলার শান্ত নির্মল পরিবেশে। বাবা বলরাম সাহা, মা অঞ্জলি সাহা স্ত্রী অনন্যা গোস্বামী তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি মূলত কবি। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৭টি । উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: ‘অমীমাংসিত শব্দাবলি’, ‘রঙিন মেঘের দিন’, ‘পুষ্পিত বৃষ্টির উল্লাসে’ প্রভৃতি।

ছোট কাগজ রোদ্দুর-এর সম্পাদক তিনি। এছাড়াও সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পূর্ব প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী হিসেবে তিনি শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রংপুর অভিযাত্রীক’-এর সম্মাননা-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আই হসপিটাল এন্ড ইনস্টিটিউট লি: এর গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন।

মিনা মাশরাফীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ২৮ জুন নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিকনমাটি গ্রামে। বাবা মো. মোশাররফ হোসেন মাতা রমিছা খাতুন তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১২ টি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: অনুভূতির অভিলাষ (কবিতা), গল্পে আদর্শ শিখি (শিশুতোষ গল্প), মিষ্টি ছড়ার বৃষ্টি (ছড়া), একুশের ছড়া, আমার পড়া (ছড়া) প্রভৃতি।

তিনি মহিলা ও শিমু বিষয়ক বিসয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপপরিচালক পদে প্রশাসন ও অর্থ শাখায় চাকরি করেছেন। সাহিত্য ক্ষেত্রে স্বীকৃতির জন্য তিনি আশরাফ সিদ্দিকী, সাঈদা সিদ্দিকী স্বর্ণপদক-সহ বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন  একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা।

নাজমুন নাহার লাইজুর জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মাতুলালয় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার বীরহলী গ্রামে। পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর জেলার বিরল-এর রামপুর গ্রাম। পিতা নূরুল ইসলাম মা আনসারা বেগম স্বামী মফিকুল ইসলাম । দুই পুত্র রিদওয়ান ও রায়ান। তিনি জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে  ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘বাংলাদেশের বেদে সম্প্রদায়’

ফাতেমা জোহরার জন্ম ১৯৭২ সালের ১০ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। পিতা আজিজুল ইসলাম মাতা আয়েশা ইসলাম স্বামী ডা. শাহ্জাহান সিরাজ সন্তান শারা ও শামা তিনি কবি ,নাট্যকার,গবেষক ও সাময়িকপত্র-সম্পাদক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ থেকে এম.ফিল.ডিগ্রি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার আউলিয়াবাদ গ্রামের আলাউদ্দিন সিদ্দিকী মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘কথা নিঃশব্দ’ (কবিতাগ্রন্থ), ‘অতঃপর কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ (নাট্যগ্রন্থ) এবং ‘গাইবান্ধা জেলার লোকসংগীত:জীবন, সমাজ ও সংস্কৃতি(গবেষণা)। 

ফোকলোর বিষয়ক গবেষণামূলক পত্রিকা ‘লোকভূমি’র সম্পাদক। গাইবান্ধা থেকে প্রকাশিত ‘মানাস’ নামের শিল্প সাহিত্যের ছোট কাগজের সাথেও সম্পৃক্ত।

এস.এম.আব্রাহাম লিংকন লেখালেখির বাইরে নানামুখী কাজের জন্য উত্তর জনপদের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্ম মাতুলালয়ে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে নিজ জেলা কুড়িগ্রামে। পিতা মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং প্রয়াত মাতা আমেনা খাতুন গৃহ সংগ্রামী ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর। গত শতাব্দির আট এবং নয় দশকের সামরিক আইন, স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নির্যাতিত ছাত্রনেতা। রাকসুর এজিএস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত ছিলেন। পেশাগত জীবনে চৌকস আইনজীবী। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তোলপার করা ‘ঐতিহাসিক ফেলানি হত্যা’ মামলার তিনি বাংলাদেশের আইনজীবী। কুড়িগ্রাম আইন কলেজেরে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবারের সভাপতি। নিজ গৃহ ‘লিংকন্স ইন’ এ ‘উত্তরবঙ্গ জাদুঘর’ নামক একটি বিশাল সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবান অনেক দলিল ও স্মারক রয়েছে। বাংলা একাডেমির মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস: রংপুর গ্রন্থের তিনি রচয়িতা। ‘রঙ্গপুরের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে রঙ্গপুর’ গ্রন্থের অন্যতম লেখক। জাতীয় দৈনিকের নিয়মিত কলামিস্ট। প্রবাহ ও ভাওয়ােইয়া পত্রিকার সম্পাদক, একাধিক যৌথ কাব্যগ্রন্থের পাশাপাশি ‘শেষ যুদ্ধে ডাক দিয়ে যাই’ তার একক কাব্য গ্রন্থ। ‘স্মৃতিকণ্য’ ও ‘জীবন মৃত্যুর মাঝখানে’ তার সম্পাদনাগ্রন্থ।

কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সম্মাননা, আইনজীবী সমিতি সম্মাননাসহ একাধিক সম্মাননা ও পদক লাভ করেছেন । স্ত্রী নাজমুন নাহার সুইটি কলেজের শিক্ষক। শাশ্বত গৌরব সিদ্ধার্থ তাঁদের একমাত্র সন্তান।

মোস্তফা তোফায়েলের জন্ম ১৯৫৪ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি, আদি জন্মস্থান কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলাধীন বেলগাছা ইউনিয়নের পশ্চিম কল্যাণ গ্রামে। বর্তমান বাড়ি ইসলামপুর, হনুমানতলা, রংপুর। পিতা মরহুম মোহাম্মদ আলী, মাতা ফাতেমা খাতুন। কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকতা দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেছেন তিনি। পরে হয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা। মৌলিক কবিতার বই আছে একাধিক, বাংলা ও ইংরেজিতে । মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র মহাকাব্য ‘একজন প্রমিথিউজ তিনি’ রচয়িতা হিসেবে তিনি সুখ্যাত। তাঁর প্রকাশিত হয়েছে । ২০১১ সালে প্রকাশ করেছেন বৃহত্তর রংপুরের ইতিহাস।

মাহফুজা হিলালীর জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৪ জুন সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুরে। মা মমতাজ মহল বাবা অ্যাড. মো. গোলাম মোস্তফা হিলালী। স্বামী আমিনুর রহমান মুকুল পুত্র টইটই হিলালী। তিনি মূলত নাট্যকার এবং গবেষক। মঞ্চনাটকে কাজ করছেন সতেরো বছর ধরে। ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল. ডিগ্রি এবং ২০১৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচি.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ এর ‘সংকলক’ হিসেবে কাজ করেছেন। তার প্রকাশিত কবিতার বই ‘স্বীয় সঙ্গোপনে’ সাহিত্য-সমালোচনামূলক বই ‘রবীন্দ্রনাথ: স্ত্রীর পত্র’ নাটকের বই ‘রবীন্দ্র-নাট্যে নারী’, ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস জীবন ও সমাজ’ ‘সাহিত্যের নানা মাত্র’।

এম. আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৭৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরীগ্রামে। বাবা মো আবদুল কুদ্দুস মা জাহানারা বেগম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় েবাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।  

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে: ‘পাবনা অঞ্চলের লোকসংস্কৃতি’ ‘বাংলা কাব্যের স্বরূপ ও সিদ্ধি অন্বেষা’ ‘রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কাব্যে বিচ্ছিন্নতার রূপায়ণ’ ‘পাবনায় ভাষা আন্দোলন’ প্রভৃতি।

বর্তমানে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বরত। সহধর্মিণী শবনম মোস্তারী খানম, পুত্র নির্ঝর ও কন্যা নিষ্ঠাকে নিয়ে তাঁর সংসার। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাবে করেছেন ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৪’।

হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯৯০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর রাজশাহীর নাটো জেলা সংলগ্ন পুঠিয়ায়। মা হালিমা বেগম মেরী, বাবা মুকুল মোল্লা। লেখালেখিতে ‘মোল্লা মামন’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের ‘চিহ্ন’ ‘কবি’‘কাহ্নপা’ ‘স্নান’ এবং কলকাতার ‘কুবোপাখি’ নামক ছোটকাগজগুলোতে সৃজনশীল ও মননশীল নানান লেখা প্রকাশিত। এছাড়া লিটন ম্যাগাজিন ‘স্নান’ সম্পাদনা এবং সাহিত্যের কাগজ ‘চিহ্ন’র ২৩ তম সংখ্যার (ফেব্রুয়ারি, ২০১৪) সহযোগী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব-পালন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ২০১৩ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক এবং ২০১৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

শিলু রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২২ সেপ্টম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর অনুপনগর গ্রামে। বাবা মুহম্মদ ফজলুর রহমান ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। মা আনোয়ারা খাতুন। স্বামী আমিনুর রহমান সুলতান। পুত্র কবি সিজন নাহিয়ান। পরিবারিক সূত্রে সাহিত্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন ।প্রকামিত গ্রন্থ ‘ভূতেরাও ভয় পায়’, জীবনানন্দ দাশের নির্বাচিত কবিতা’ (সম্পাদিত)। ঢাকার ওয়ারিস্থ সিলভারডেল প্রিপারেটরি এন্ড গার্লস হাই স্কুল-এর সহকারী শিক্ষক।

Bologna
Bologna

Shilu Rahman(শিলু রহমান)

Date Of Birth 22 Sep, 1965