রঞ্জন মল্লিক ১৯৬৯ সালে’র ১ মে চাঁদপুর সদর থানার জে.এম.সেনগুপ্ত রোড, নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। তিনি হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে মাধ্যমিক ও চাঁদপুর কলেজ থেকে ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্ত্তীন হন। এরপর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে বি.এ অনার্সসহ এম.এ পাশ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদের তত্তাবধানে ওরাল হিস্ট্রি অব বাংলাদেশ প্রকল্পে থেকে মুক্তিযুদ্ধে কসবা সহ বেশ কয়েকটি বই ইউপিএল থেকে প্রকাশিত হয়। সবগুলো বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরিতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার যাত্রাকালে (২০০০ সালে) তিনি একুশে টেলিভিশনে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদ আফসান চৌধুরীর সাথে কাজ শুরু করেন। ২০০৩ সালে তিনি চ্যানেল আইতে যোগদান ছিলেন। ২০০৯ এর জুলাই পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ এর আগস্ট থেকে তিনি যমুনা টেলিভিশনে যোগদান করেন এবং সেখানে দেড় বছর কাজ করেন। ২০১২ সালে তিনি বৈশাখী টেলিভিশনে যোগদেন এবং ২০১৪’র ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী থেকে আবারও একুমে টেলিবিশনে জ্যেষ্ঠ প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি নানাবিধ অনুষ্ঠান নির্মাণের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে এই পর্যন্ত বিভিন্ন চ্যানেলে ৭২ টি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের কাজের প্রতি তার আগ্রহ জন্মগত। পারিবারিক ঐতিহ্য ও যুদ্ধকালীন সংগ্রাম, যা তাঁর মা ও বোন বলেছেন দুঃখ-কষ্টের সেইসব কথা তিনি অন্তরে লালন করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, চাঁদপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখতে লেখক পনেরো বছর ধরে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও তথ্য-উপাত্য সংগ্রহ করেন । ঐসব তথ্য-উপাত্য সংগ্রহ করেন। ঐসব তথ্য-উপাত্য ও সাক্ষাৎকারের উপর নির্ভর করে, লেখক কিশোরদের জন্য চাঁদপুর জেলার সঠিক ইতিহাস তুলে ধারা চেষ্টা করেছেন ।
আলহাজ্ব মো. ফখরুল ইসলাম জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ জুলাই নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলাধীন নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুরে। পিতা মরহুম হাজী হাবিব উল্যা ও মাতা মরহুম সুফিয়া খাতুন। চাকুরীররত অবস্থায় ২০০০ সালে এম.এ ১ম- পর্ব পাস করেন, আর ফাইনাল পরীক্ষা দেননি। তিনি ২০১৪ সালের ৩০ জুন ৩৮ বছর কর্মজীবনে শেষে জনতা ব্যাংক সি: এরিয়া অফিস নোয়াখালী থেকে নির্বাহী অফিসার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
ছাত্র জীবন এবং কর্মজীবনে লেখা লেখিতে জড়িত থেকে এ পর্যন্ত তিনি ১৭টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ হচ্ছে-বৃহত্তর নোয়াখালী ইতিহাস (১৯৯৮), স্বপ্নের নিঝুমদ্বীপ (২০০৭), লোক সংস্কৃতি গবেষক পরিচিতি (২০০৭), মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর নোয়াখালী (২০১৪) , নোয়াকালীর গর্ব ও অহংকার বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন (২০১৪), বৃহত্তর নোয়াখালীর অহংকার ভাষা শহীদ শহীদ আবদুস সালাম (২০১৫), আমার দেখা বৃহত্তর নোয়াখালী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পর্যটন এলাকা (২০১৬), অপ্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ-ডাকটিকেট কথা কয়, ডাকটিকেটে লকারিত সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ বাঙ্গালী, ৪০০ বছরের ঢাকার ইতিহাস ঐতিহ্যের নিদর্শন, আমার দেখা ভারতের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের নিদর্শন, আমার দেখা ভারতের ঐতিহাসিক নিদর্শন, মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী, বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রবাদ প্রবচন, লক্ষ্মীনারায়ণপুর চরিতা বিধান, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সফর মক্কা মদিনা, আল্লাহ ও রাসুলের ঘর। ৬৪ জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য (প্রকামের প্রক্রিয়াধীন), মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস নোয়াখালী জেলা (প্রকাশের অপেক্ষা আছে)।
লেখা লেখির স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য (১৯৭৬) পদ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি এশিয়াটিকে সোসাইটি কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জ্ঞান শেষ গ্রন্থের নোয়াখালীও লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান গবেষনা সহযোগী সংগ্রহকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১২ সালে স্বস্ত্রীক পবিত্র হজ্ব পালন করেন। শিল্প সাহিত্য ইতিহাস ঐতিহ্য পুরাতত্ত্ব গবেষণা তথ্য সংগ্রহ সংরক্ষণ এবং লেখালেখি তাঁর সখ ও পেশা । তিনি বাংলাদেশের’৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন।
জয়দুল হোসেনের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর তালুকদার বাড়ি। পিতা আবদুল মোতালিব ভূঞা মাতা মাহতাব বানু। তিনি মূলত কবি ও সংগঠক। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রভাগে রয়েছেন তিনি। তাঁর প্রকামিত মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১২ টি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: স্বরবৃত্তে স্বরাঘাত (ছড়াকাব্য, ১৯৮৮), খান মোহাম্মদ ফারাবী (জীবনীগ্রন্থ, ১৯৯৫), পূর্ণদৈর্ঘ্য কবিতা (কাব্যগ্রন্থ, ২০০৪), সপ্তডিঙা (প্রবন্ধগ্রন্থ, ২০০৮), মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া (মুক্তিযদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, ২০১১), জন্মশতবর্ষে অদ্বৈত মল্লবর্মণ (সম্পাদনা,২০১৪) প্রভৃতি। সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেছেন একাধিক সংবর্ধনা, সম্মাননা ও পুরস্কার। দেশের বাইরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অদ্বৈত মল্লবর্মণ উৎসব উদযাপন পরিষদ সম্মাননা লাভ করেছেন ২০০১ ও ২০০৪ সালে।
অংশৈসিং এর জন্ম ৫ জানুয়ারি ১৯৭৩, বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলায় মা ঊক্য চিং বাবা ক্যহ্লাঞো বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
শফিকুল ইসলামের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২২ আগস্ট তেঁতুলিয়ায়। বাবা আবদুল আজিজ মা সুফিয়া খাতুন স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম রানি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত। দুই ছেলে: ময়ূখ ও মর্ম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্তমানে শিক্ষকতা পেশা সঙ্গে যুক্ত। পঞ্চগড় জেলার ভজনপুর কলেজের অধ্যক্ষ। স্থানীয় পর্যায়ে সমাজ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ওতাপ্রাতভাবে সম্পৃক্ত। ২০০০ সালে নির্বাচিত হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
মো.আব্দুল লতিফ ১৯৪৯ সালের ২ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুর আলিম ও মাতার নাম জোবেদা খাতুন। বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ঠাকুরগাঁও বিডি কলেজ (বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ) থেকে। শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু। প্রায় ৩৮ বছর ‘দৈনিক ইত্তেফাফ’-এর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে দৈনিক বর্তমান ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবি’র জেলা প্রতিনিধি। ঠাকুরগাঁও থেকে প্রকাশিত সংগ্রামী বাংলা নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার তিনি প্রকাশক ও সম্পাদক। ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। কৃষি ব্যাংকে ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।