আমিনুল হক বাবুলের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির জয়পুরহাটের পাঁচবিবির দরগা পাড়া (মামার বাড়ি)। মাতা আমেনা খাতুন, পিতা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি লেখক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিককর্মী। দীর্ঘদিন ‘দৈনিক সংবাদ’-এর স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রকাশিত গ্রন্থ:‘জয়পুরহাট জেলার’ ৭১-এর বধ্যভূমি ও গণকবর’ ‘জয়পুরহাট জেলার আদিবাসি মুক্তিযোদ্ধ’। স্ত্রী ফেরদৌস আরা লিপি, কন্যা সুগন্ধা, সুনন্দা ও পুত্র শুভয়কে নিয়ে তাঁর সংসার।
মামুন রশীদ। জন্ম : ০২ আগস্ট ১৯৭৭। পৈত্রিক নিবাস : সিরাজগঞ্জ, শিক্ষা : বিএ (সম্মান), এমএ (বাঙলা, সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। প্রকাশিত গ্রন্থ : কালো পাতা, ওড়ো, সাদা ছাই (কবিতা), কুশল তোমার বাঞ্ছা করি (কবিতা)।
আখতারুজ্জাহানের জন্ম ১৯৭৫ সালের ২৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। বর্তমান বসবাস রাজশাহী শহরের সাহেরগঞ্জে। বাবা আবদুল ওয়াদুদ, মাতা হোসনে জাহান ও স্বামী মো. শওকত আলী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সন্মান ও স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। তাঁর গবেষণামূলক একাধিক প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নাল, সম্পাদিত গ্রন্থ ও সাময়িকীতে প্রকাশিত। তাঁর গবেষণাগ্রন্থ ‘আহসান হাবীবের সাহিত্যকৃতি’ প্রকাশিত হয়েছে ২০১২ সালে। প্রবন্ধের জন্য তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেছেন।
লেখক, গবেষক ও সংবাদকর্মী আইয়ুব হোসেনের জন্ম নওগাঁয়। তরুণবয়সে প্রগতিশীল ধারার রাজনীতর সঙ্গ যুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধে ৭ নম্বর সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত থেকে একজন সাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। সক্রিয় ও সার্বক্ষণিকভাবে রাজনীতিতে তৎপর থাকার কারণে একাধিকবার কারাগারে অন্তরীণ থেকেছেন। পরে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেও সাম্য সমাজের স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হননি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর পেশা হিসেবে সংবাদপত্র, বেসরকারি উন্নয়ন ও গবেষণার সংস্থা এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে সংবাদকর্মী হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি লেখালেখি ও সামাজিক গবেষণায়ও নিবিষ্ট। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে দেশের বিশিষ্ট স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের রচনাসমগ্র তিন খণ্ডে সম্পাদনা ও জীবনী রচনা। এ যাবৎ প্রকাশিত হয়েছে প্রায় সত্তরটি গ্রন্থ এবং পনেরটি গবেষণাপত্র। তিনি প্রথা ও প্রত্ম নামের দুই সন্তানের জনক।
মুনজেরিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি তার মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০০পার্সেন্ট স্কলারশিপে তার দ্বিতীয় মাস্টার্স করছেন ইংরেজি শিক্ষার ওপর। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম 10 Minute School এর একজন শিক্ষক এবং তার ভিডিও লেকচারগুলো এরই মধ্যে ২ কোটি ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছেছে। তার IELTS স্কোর 8.5। এছাড়াও তিনি 10 Minute School - এর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত আছেন।
ননী ভৌমিক ১৯২১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।ননী ভৌমিকের বাড়ি বর্তমান বাংলাদেশের রংপুর। রংপুর শহরে স্কুলে পড়তেন। রংপুর কলেজে থেকে আই.এসসি ও পাবনা সরকারি কলেজ থেকে বি.এসসি পাস করেন। অর্থাভাবে এম.এসসি পড়তে পারেননি। পরে বীরভূম জেলার সিউড়িতে চলে আসেন। বীরভূম ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী বিপ্লবী নিত্যনারায়ন ভৌমিক তার দাদা ।ননী ভৌমিক তরুণ বয়েসেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন এবং স্বাধীনতা পত্রিকায় সাংবাদিকের কাজ করতে শুরু করেন। ৪৬ সালের ভয়াবহ দাঙ্গার ভেতরেও নির্ভীকভাবে সংবাদ সংগ্রহ করে গেছেন তিনি। পরে তেভাগা আন্দোলনের খবর জোগাড় করেছেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে যা স্বাধীনতা পত্রিকায় প্রকাশিত হত। তার এই অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ছোটগল্প সংকলন 'ধানকানা'বের হয়। অরণি পত্রিকায় নিজের সাহিত্যচর্চা শুরু হয়। চৈত্রদিন তার অপর গ্রন্থ। ফ্যাসিবিরোধী প্রগতি লেখক সংঘ ও ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির সদস্য ছিলেন। পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন কিছুকাল। তার বিখ্যাত উপন্যাস ধুলোমাটি ধারাবাহিকভাবে পরিচয়ে বের হয়। ১৯৪৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হলে তিনি গ্রেপ্তার হন ও প্রেসিডেন্সি, বক্সা ইত্যাদি জেলে আটক থাকেন। ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি তিনি মস্কোর প্রগতি প্রকাশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অনুবাদকের কাজ নিয়ে সোভিয়েত রাশিয়া যান। রুশ মহিলা স্বেতলানা'কে বিয়ে করে সে দেশেই থেকে যান। বহু রুশ সাহিত্যের অসামান্য বাংলা অনুবাদ তার হাত দিয়ে বেরিয়েছে। রাজনৈতিক সাহিত্য ছাড়াও অজস্র শিশু কিশোরদের গল্প, উপন্যাস অনুবাদ করেছেন। ফিওদোর দস্তয়েভ্স্কির বঞ্চিত লাঞ্ছিত, জন রীডের দুনিয়া কাঁপানো দশদিন, ল্যেভ তল্স্তোয়ের আনা কারেনিনা ইত্যাদি ছাড়াও বাংলা- রুশ- বাংলা অভিধান, ইউক্রেনের গল্প, সোনার চাবি, উভচর মানব ইত্যাদি। তবে অনুবাদের কাজ করতে গিয়ে নিজের মৌলিক লেখার কাজ ব্যহত হয়। সোভিয়েত মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমন করে রিপোর্টাজ ধর্মী 'মরু ও মঞ্জরী' গ্রন্থটি লেখেন সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে। তার সাহিত্যকর্মের জন্যে বঙ্কিম পুরষ্কার ও ১৯৮৮ সালে বিদ্যাসাগর-স্মৃতি পুরষ্কার দেওয়া হয় তাকে। ননী ভৌমিকের শেষ জীবন অবহেলা আর আর্থিক সমস্যায় কাটে। পুত্রের মৃত্যুতে মানসিক আঘাত ও স্মৃতিভ্রংশে ভুগতেন। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে তিনি রাশিয়াতেই পথ দুর্ঘটনায় মারা যান।
প্রকৃতিপ্রেমী ও মানবতাবাদী কবি, কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার মেহেনাজ পারভীন মেঘলা ২১ জানুয়ারি রংপুর জেলার বদরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মো.খাইরুল ইসলাম, মাতা রওশন আরা বেগম। শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত লেখক মেহেনাজ পারভীন মেঘলা বর্তমানে দিনাজপুরের ছোট গুড়গোলায় একমাত্র কন্যা আফসার মালিহা শৈলী ও স্বামী আব্দুল্লাহ হিল সাঈদের সাথে বাস করেন। মেধাবী এই লেখক সমাজবিজ্ঞানে ষষ্ঠ স্থানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, এলএলবি ডিগ্রি ও ডিএইচএমএস-এ ৯ম স্থান ও বি.এড পরীক্ষায় ‘এ’ গ্রেড লাভ করেন।
তিনি ছাত্রাবস্থা ২০০৬ ও ২০১০ সালে দুবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের শ্রেষ্ঠ পাঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর কাছ থেকে পুরস্কার নিয়েছেন এবং দেয়াল পত্রিকার জন্য প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের ‘ডিজিটাল সাহিত্য আড্ডা’ থেকে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে গুণিজন সংবর্ধনা পেয়েছেন। তিনি ইংরেজিতে কবিতা লিখেও অনেক সনদপত্র ও সম্মাননা অর্জন করেছেন।
তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘ভালোবাসার কুঁড়েঘর’,দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘এক ব্যালকনি প্রেম’। তাঁর লেখা ছড়া ছড়ার বই-‘শিশুর চোখে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’।
তাছাড়া প্রচুর যৌথ কাব্যগ্রন্থে তাঁর কবিতা গ্রন্থিত হয়েছে। তিনি সম্পাদনা করেছেন যৌথ কাব্যগ্রন্থ ‘নীল সময়ের আলপনা’, ছড়ার বই ‘শিশুর চোখে স্বপ্ন নাচে’। তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিতভাবে কবিতা ও গল্প লিখে আসছেন।