Notice Update

নেভিলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস (ইংরেজি: Neville Anthony Mascarenhas; জন্ম: ১০ জুলাই, ১৯২৮ - মৃত্যু: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) দক্ষিণ এশিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক ছিলেন। তাঁর পুরো নাম নেভিল অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস। তিনি ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পড়াশোনা করেন পাকিস্তানের করাচিতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য ঘটনা পর্যবেক্ষণপূর্বক বিশ্ববাসীর কাছে সর্বপ্রথম উন্মোচিত করেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে লিখেন যা বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করেছিল। এ বিষয় নিয়ে তিনি বইও লিখেছেন। তিনি ব্রিটেনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায় ১৪ বছর কাজ করার পর ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেন।

ফরিদুর রেজা সাগর শিশু সাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ফরিদুর রেজা সাগরের জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ । মা প্ৰখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। বাবা বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্ৰবিষয়ক পত্রিকা সিনেমা’র সম্পাদক এবং এদেশের প্রথম শিশুচলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট” এর নির্মাতা ফজলুল হক । ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ফরিদুর রেজা সাগর। শিশুসাহিত্যিক হিসেবে ফরিদুর রেজা সাগরের খ্যাতি দু'দশক ধরে। ছোটবেলা থেকে কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা, চাঁদের হাট এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি শিশুকিশোর উপযোগী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে তিনি ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক। এক সময় তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও যুক্ত ছিলেন। এখনও পত্রপত্রিকায় তিনি নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখে থাকেন। তিনি ছোটদের পত্রিকা ‘টইটুম্বর’এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ পেয়েছেন শিশু একাডেমীর অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং ইউরো শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০০৫। এছাড়াও পেয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্ৰ সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার (বাচসাস), কালচারাল রিপোর্টার্স এ্যাওয়ার্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০০২) সহ জাতীয় পর্যায়ে আরো অনেক পুরস্কার।

লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মিজানুর রহমান খান বীরপ্রতীক - ১৯৭১ সালে অল্প বয়সেই হাতে বন্দুক তুলে নেন এবং পাক-হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যান! সকল যোদ্ধার মতো তিনিও কসম খান- “হয় স্বাধীনতা; নয়তো শেষ রক্ত বিন্দু অব্দি লড়াই!” সন্মুখ যুদ্ধে পারদর্শী হেলাল কোম্পানীতে যোগ দিয়ে একাধিক সম্মুখ সমরে অংশগ্রহন করেছেন তিনি। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় শত্রু বেস্টনি থেকে উদ্ধার করে, সেই দুর্ধর্ষ কামালপুরের যুদ্ধে পাকিস্তানি আর্মির আত্বসমর্পনে বীরত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন । বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মিজানুর রহমান খান বীরপ্রতীক যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলায় পড়ালেখা শেষ করে, ১৯৮৩ সালে যোগদান করেন জনতা ব্যাংকে। অত্যন্ত সুনামের সাথে চাকুরী করে ২০০৯ সালে তিনি অবসরে যান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স সীমা বৃদ্ধি করায় পূনরায় তিনি চাকুরীতে যোগদান করেন। সর্বশেষ ২০১১ সালে চাকুরী থেকে তিনি অবসর নেন। বর্তমানে লেখক ধানমন্ডি ভুতের গলিতে অবসর জীবন যাপন করছেন। কিন্তু উনার ‘জীবন যুদ্ধের সহযোদ্ধা’ অর্থাৎ তার স্ত্রী আলেফা বেগম মঞ্জুর কোনো অবসর নেই! ঢাকার বাসাবোতে তিনি একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল (যৌথভাবে) পরিচালনা করে চলেছেন প্রায় ৩০ বছর যাবৎ।

কবি, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অপূর্ব শর্মার জন্ম মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার হরিনাকান্দি গ্রামে। কবিতার মাধ্যমেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও ২০০৬ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায় তার প্রথম গবেষণাগ্রন্থ ‘অনন্য মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি’প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থ ১৪ টি। এরমধ্য চারটি গ্রন্থ অনুবাদ হয়েছে ইংরেজি ভাষায়। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ১৮টি গ্রন্থ। কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ইতোমধ্যে ‘সিলেটের যুদ্ধাপরাধ ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র’গ্রন্থের জন্য ২০১০ সালের এইচএসবিসি কালি ও কলম পুরস্কার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে ২০১৩ সালে লাভ করেন বজলুর রহমান স্মৃতিপদক। ২০১৮ সালে গবেষণা কর্মের জন্য পেয়েছেন লীলানাগ স্মৃতিপদক। বাংলাদেশের প্রাচীন সংবাদপত্র দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করছেন সাহিত্যপত্রিকা অভিমত। এছাড়াও মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল মুক্তিযুদ্ধ ডটকমের সম্পাদক তিনি।

রাবেয়া খাতুন বাবা মোহাম্মদ মুলুক চাঁদ। মা হামিদা খাতুন। চার সন্তানের জননী- সাগর কেকা প্রবাল কাকলী। বাবা ছিলেন সরকারী কর্মচারী। বদলীর চাকুরী। রাবেয়া খাতুনের শৈশব কৈশোর তাই কেটেছে অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন শহরে ও পুরোনো ঢাকায়। মূলত ঔপন্যাসিক হলেও সাহিত্যের সব শাখায় রয়েছে তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। লিখেছেন গবেষণাধর্মী গ্ৰন্থ, অসংখ্য ছোট গল্প, নাটক, ভ্ৰমণ কাহিনী, স্মৃতিকথা, কিশোর সাহিত্য। প্রকাশিত পুস্তকের সংখ্যা পচাত্তর। এক সময় শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে লেখালেখির কাজে নিবেদিত । প্রিয় পাঠ্য সাহিত্য ছাড়াও জ্যোতিবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস। শখ দেশ ভ্ৰমণ। ঘুরেছেন বিশ্বের বিভিন্ন (দেশে। অবসরে প্রচুর গান শোনেন। চলিচ্চিত্র ও নাটক দেখেন। চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে তিনটি উপন্যাস । উপন্যাসের জন্য সম্মানিত রাষ্ট্ৰীয় পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমীসহ আরো দেড় ডজন পুরস্কারে ভূষিত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আধুনিক বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় নাম, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা। ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই প্রজন্মান্তরের ঝানু রাজনীতিবিদ। তার দূরদৃষ্টি এবং দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সফলতম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। বিশ্বে নারী নেতৃত্বের রোল মডেলে পরিণত হওয়া শেখ হাসিনা ফোর্বস ম্যাগাজিনের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনের বৈশ্বিক ১০০ চিন্তাবিদের মাঝেও তিনি একজন। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যবার্টয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিশ্বের অনেক নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট লাভ করেছেন। শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসার জ্যেষ্ঠ্য সন্তান শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়াতেই প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকার আজিমপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হলে নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এই শূন্যতা পূরণ করেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দলের হাল ধরে আছেন তিনি। শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা বই এর মাঝে উল্লেখযোগ্য একটি বই হলো মিসরীয় সাংবাদিক মুহসীনের লেখা ‘শেখ হাসিনা: উপাখ্যান ও বাস্তবতা’। তিনি নিজেও বেশ কিছু বই লিখেছেন। শেখ হাসিনা এর বই সমূহ সমকালীন রাজনীতি, গণতন্ত্র, সংকট ও তার সমাধান ইত্যাদির প্রামাণ্য দলিলের মতো। শেখ হাসিনার বই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ জাতির জনককে নিয়ে তার শ্রেষ্ঠ রচনা। এছাড়াও ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘বিপণ্ণ গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত মানবতা’ ইত্যাদি বই নিয়ে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনা এর বই সমগ্র।

Bologna
Bologna

Sheikh Hasina(শেখ হাসিনা)

Date Of Birth 28 Sep, 1947

মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান মূলত সরকারি কর্মকর্তা। বইয়ের সঙ্গেই তাঁর সার্বক্ষণিক ওঠা-বসা অর্থাৎ গ্রন্থাগারিক। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক পদে চাকুরীকাল সম্পন্ন করে সম্প্রতি অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে আছেন। নানাবিধ গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা বিষয়ে গবেষণা করে চলেছেন নিরন্তর।কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি ইংরেজি দৈনিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। বাল্যকাল থেকেই বইয়ের নেশা, অন্যদিকে লেখার নেশা। সব মিলিয়ে তিনি একজন গ্রন্থপ্রেমিক। জন্মেছেন নানা বাড়িতে ১৯৬১ সালের ১ আগস্ট, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার রূপকথার গ্রাম খ্যাত হুলহুলিয়ায়।পিতা মফিজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন আদর্শবাদী শিক্ষক। এ অঞ্চলে তিনি ‘হেডপণ্ডিত’ নামে সুপরিচিত ছিলেন। মা জাহানারা আহমেদ আজন্ম গ্রন্থ অনুরাগী। ছাত্রজীবন থেকেই পরিবেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার বিষয়ে কৌতুহলী ছিলেন। লিখেছেন নিরলসভাবে অনুসন্ধানী রচনা। তিনি বহু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সেমিনার সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহন ও গবেষণার কাজে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। সংবাদপত্রে বিষয়ভিত্তিক কলাম ছাড়াও এ পর্যন্ত তাঁর বাইশ হাজার চিঠিপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা পাঁচশ’র অধিক।

মুনতাসীর মামুনের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলার গুলবাহার গ্রামে, কিন্তু তিনি ঢাকার ইসলামপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। সেখানেই পোর্ট ট্রাস্ট প্রাইমারি ও হাই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা নেন। পরে ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং একই বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন, কাজ করেছেন ‘দৈনিক বাংলা বিচিত্রা’য়। এছাড়াও স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকসু নির্বাচনের সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৪ সালে প্রভাষক পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপরই তার বিভিন্ন অনুবাদগ্রন্থ, চিত্র সমালোচনা এবং ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ইতিহাসের প্রতি তার ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে 'মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা ইন্সটিটিউট' প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলার ইতিহাসকে তিনি প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান- এই উদ্দেশ্যেই মুনতাসীর মামুনের বই লেখা। একজন শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক। ঢাকা শহর নিয়ে তার রয়েছে গবেষণাপত্র। গড়ে তুলেছেন ‘সেন্টার ফর ঢাকা স্টাডিজ’ নামের ইতিহাস চর্চার একটি প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে মুনতাসীর মামুন এর বই সমগ্র তথা ১২টি গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মননশীল এই লেখক দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে লিখে যাচ্ছেন নানা বিষয়ে। মুনতাসীর মামুন এর বই সমূহ এর বিষয় বহুমাত্রিক। তার গ্রন্থের সংখ্যা ২২০, যাতে স্থান পেয়েছে গল্প, প্রবন্ধ, গবেষণা এবং অনুবাদ সাহিত্য। শিশু-কিশোরদের নিয়েও তার লেখা গ্রন্থ প্রশংসা কুড়িয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তার সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। বর্তমানে এই ইতিহাসবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।