Notice Update

পূরবী বসু বিজ্ঞানী, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক। তাঁর গল্প, প্রবন্ধাবলি ও বিবিধ রচনা নারী-ভাবনা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনায় ঋদ্ধ। মুন্সীগঞ্জের সন্তান তিনি। শহরের এক জনপ্রিয় চিকিৎসকের কন্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ করেছেন। ফার্মেসিতে অনার্সসহ স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা। তারপর বিদেশ যাত্রা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মেডিক্যাল কলেজ অভ পেনসিলভ্যানিয়া ও ইউনিভার্সিটি অভ মিসৌরি থেকে লাভ করেছেন। যথাক্রমে প্রাণ-রসায়নে এম.এস. ও পুষ্টিবিজ্ঞানে পিএইচ-ডি । বিজ্ঞানচর্চা তার পেশা। নিউইয়র্কের বিশ্ববিখ্যাত মেমােরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যান্সার সেন্টার গবেষণা ও কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনায় কেটেছে বেশ কিছুকাল । অজস্র গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সারা বিশ্বের নানা নামী জার্নালে। দীর্ঘ বিদেশবাসের পর দেশে ফিরে আসেন এক খ্যাতনামা ঔষধ প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক-এ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকও ছিলেন পরবর্তীকালে । গত কয়েক বছরে তার নারী সম্পর্কিত রচনা নিয়ে কয়েকটি মননশীল গ্রন্থ বেরিয়েছে, যার মধ্যে নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান, ‘নােবেল বিজয়ী নারী’, ‘সাহিত্যে নােবেল বিজয়ী নারী’, ‘প্রাচ্যে পুরাতন নারী’, ‘আমার এ দেহখানি’ ও নারী, মাতৃত্ব ও সৃজনশীলতা উল্লেখযােগ্য।। তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্যে ২০০৫-এ তিনি অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৪-এ কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

মননশীল চিন্তাবিদ, শিক্ষাব্রতী, মানবদরদি আবুল ফজলের জন্ম ১৯০৩ সালের পহেলা জুলাই। বাবা মৌলানা ফজলুর রহমান ছিলেন বিজ্ঞ আলেম। ১৯২৩ সালে নিউস্কিম মাদ্রাসা থেকে প্রবেশিকা ও ১৯২৫তে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯২৮-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. এবং ১৯২৯-এ ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি পাস করেন। এগার বছর পর ১৯৪০-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাস করেন। স্কুল-কলেজে চাকরি করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। মুক্তবুদ্ধির চিরসজাগ প্রহরী আবুল ফজল জাতির সংকট মুহূর্তে নির্ভীক ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার, রাষ্ট্রিয় সাহিত্য পুরস্কার ও সমকাল পুরস্কারে । ১৯৭৫-এ পেয়েছেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি । ১৯৮৩, ৪ মে, রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মফিদুল হক (জন্ম: ১৯৪৮) পেশায় প্রকাশক এবং কর্মসুবাদে শিল্প-সংস্কৃতি ও সৃজনমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। তার সমাজচিন্তামূলক বহুবিধ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও শিল্প-সাহিত্যের সাময়িকীতে, যদিও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তুলনায় খুব বেশি নয়। মৌলিক প্রবন্ধ রচনার পাশাপাশি অনুবাদেও তিনি সর্বদা আগ্রহের পরিচয় রেখেছেন। সমাজ-অধ্যয়ন তাঁর রচনার মূল বিষয়, এক্ষেত্রে শিল্প-সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ পেয়েছে বিশেষ প্রাধান্য। বাংলা একাডেমী থেকে জীবনীগ্রন্থ সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর রচিত আবুল হাশিম’ এবং পূর্ণেন্দু দস্তিদার' প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘মনােজগতে উপনিবেশ: তথ্য সাম্রাজ্যবাদের ইতিবৃত্ত’, ‘তৃতীয় বিশ্ব এবং নারীমুক্তির পথিকৃৎ। অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে এর্নেস্তো কার্দেনালের ‘বিপ্লব ও ভালােবাসার কবিতা, জন হের্সের ‘হিরােশিমা', সিডনি শনবার্গের ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ: ১৯৭১', আহমেদ সালিমের ‘পাকিস্তানের কারাগারে শেখ মুজিবের বন্দিজীবন’ প্রভৃতি। শিল্পকলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে দ্বিভাষিক গ্রন্থ কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউটইউনেস্কো প্রকাশিত দ্বিবার্ষিক সংকলন ‘ওয়ার্ল্ড অব থিয়েটার'-এর অন্যতম সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য-সচিব তিনি।

মঈনুল আহসান সাবেরের জন্ম ঢাকায়। ২৬ মে ১৯৫৮। পৈতৃক ভিটে একদা বরিশাল ভাগ হয়ে যাওয়ার পর পিরােজপুর। দেশের বহু বহু জায়গায় যাওয়া হয়েছে, যাওয়া হয়নি ওই পিরােজপুর। বাবার ফেলে আসা ভূমি সাজানাে আছে সাবেরের কল্পনায়। জন্মের পর এই ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। সংসার জীবনও। যদিও এক সময় ইচ্ছা ছিল, থিতু হবেন না, পথে পথে থাকবেন, আজ এখানে তাে কাল ওখানে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে তিনিও সেই ওদের মতাে, যাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত না টেনেছে, তার চেয়ে বেশি টেনেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চত্বর। বড়দের জন্য প্রথম লেখা ১৯৭৪-এ। প্রকাশিত হয়েছিলাে সে সময়কার সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। তারপর ৪০ বছর ধরে এই একটিই কাজ, বিরতিসহ বিরতি ছাড়া। প্রথম বই গ্রল্পগ্রন্থ “পরাস্ত সহিস বেরিয়েছিল ১৯৮২ সালে। চাকরি না করে উপায় নেই। তাই করছেন, সাংবাদিকতা। এখন অবশ্য বেকার। বেকার থাকার অভিজ্ঞতা তার আছে। বাসনা বেকারই থেকে যাওয়ার। বেড়াতে ভালােবাসেন। একা থাকতেও পুরস্কার পেয়েছেন সামান্য কয়েকটি। বাপি শাহরিয়ার শিশুসাহিত্য পুরস্কার, হুমায়ূন কাদির সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার। স্ত্রী নাহিদ নিগার, দু পুত্র আহসান সেনান ও আহসান সাজিদকে নিয়ে তার সংসার।

মুক্তিযােদ্ধা সিরু বাঙালি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুলাই চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ ৬ দফা বাস্তবায়নের আন্দোলনে ৭ জুন ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়ে মােট ৬৯ দিন কারাভােগ করেন। তারপর মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত সকল আন্দোলনে তাঁর ছিল সরব উপস্থিতি। ৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের কাজে লেগে পড়েন। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে সরাসরি যুদ্ধে যােগ দেন এবং দেশ শত্রুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বৃহত্তর পটিয়া অঞ্চলে গেরিলা কমাণ্ডার হিসেবে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। পাকিস্তানি হায়েনা সৈন্যদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির গৌরবােজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস দেশবাসীকে জানানাের জন্য তিনি রাইফেল ছেড়ে কলম হাতে তুলে নিয়েছিলেন ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। রণাঙ্গনের সেই অগ্নিঝরা রাইফেলই যেন তার হাতে কলম হয়ে ফিরে আসে অসম্ভব সাহসিকতায়।। বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য সিরু বাঙালি একজন সংগঠক হিসেবে অনেকগুলাে সামাজিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে যুক্ত। উল্লেখযােগ্য রচনাবলীর মধ্যে আছে-বাঙাল কেন যুদ্ধে গেল, আমার যুদ্ধ আমার একাত্তর। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিশাের উপন্যাস-আল্লুর জন্য যুদ্ধ, মাগাে আমরা লড়তে জানি, অথৈ পেয়েছে পতাকা, রহস্যময় প্ল্যানেটে একুশ, অপারেশন বিমান ঘাঁটি, যুদ্ধশিশুর যুদ্ধ জয়, একাত্তরের সূর্যসেনা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিশাের গল্প-স্বাধীনতার গল্প শােনাে, ছােটদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ বীর, গল্পে গল্পে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের কিশাের উপন্যাসসমগ্র, একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের কিশাের গল্পসমগ্র। রূপকথা ও অন্যান্য রচনা-ছােটদের আরব্য রজনীর সেরা গল্প, হায়েনা ও বনের রাজা, বুদ্ধিমান খরগােশ, গাধার বীরত্ব, হায়েনার মুখে সজারু, একদিনের বাদশাহ, লুদমিলার নসিব, শিয়াল যখন বন্ধু, আকাশ-জয়ের গল্প, কানা রাজকুমার, ফেরারী মন। জীবনীগ্রন্থ-ছােটদের মহাত্মা গান্ধী, ছােটদের নেলসন ম্যান্ডেলা। সম্পাদনা-উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরীর নির্বাচিত গল্প সংকলন ‘বাঘ শিয়ালের গল্প', ছােটদের বিজ্ঞানপিডিয়া, ছােটদের নলেজ ব্যাংক। লেখালেখির জন্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই মহান মুক্তিযােদ্ধা লেখক।

রমা জাহিদ ছােটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। শুরু হয় কবিতা দিয়ে। সাহিত্যের প্রায় সকল আঙ্গিনায় বিচরণ করছেন যা প্রকাশ পায় তাঁর কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অন্যরকম চাওয়া’, অপর সৃষ্টি পাঠকপ্রেমীর নিকট সমাদৃত উপন্যাস ‘খণ্ডক’ । পরবর্তী প্রকাশ সহজ-সরল, প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত উপন্যাস আজ বসন্তের দিন। আরাে প্রকাশিত হয় ছােটগল্প ‘না আর যাবাে না', গল্প ‘সােনার। পালঙ্কে আমি একা, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। নির্যাতিত নারীদের নিয়ে গবেষণাধর্মী আলােড়িত প্রকাশনা 'বীরাঙ্গনাদের কথা। স্কুল জীবন থেকেই বাংলাদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত থেকে সক্রিয় ভূমিকা রেখে। চলেছেন। বাংলাদেশের নারীদের বিভিন্ন সংকট, সংখ্যাতিময় অবস্থার প্রেক্ষাপটে লেখনীর দ্বারা হয়েছেন তিনি সােচ্চার। ইতােমধ্যে তিনি কুমারখালী সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, দক্ষিণ বাংলা সাহিত্য সাংস্কৃতিক পদক এবং কবি সুফিয়া কামাল সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন। সুরমা জাহিদের জন্ম ১৯৭০ সাল। জন্মস্থান : রাজাবাড়ি, রায়পুরা, নরসিংদী। বাবা : মরহুম আলফাজ উদ্দিন আহমেদ, মাতা : আম্বিয়া আক্তার। স্বামী : মােঃ জাহিদ হােসেন। ছেলে : মােঃ নাদির হােসেন লুই ও মেয়ে : নুর-এ-জান্নাত জুই। শিক্ষাজীবন শুরু করেন রায়পুরা উপজেলার জিরাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। তারপর মরজাল কাজী মােঃ বশির উচ্চ বিদ্যালয়, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গডিডমারী উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করেন কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে।

খ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী ও কবি বুলবুল মহলানবীশের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ। সমাজ সচেতন সংস্কৃতিবান পরিবারের সদস্য হিসেবে ছােটবেলা থেকেই লড়াই করেছেন সব রকম অসংগতির বিরুদ্ধে। বাবা-মায়ের উৎসাহেই আবৃত্তি ও সংগীত চর্চার পাশাপাশি ছড়া কবিতা গল্প লেখার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আবার পারিবারিক সূত্রেই পেয়েছেন নিজেকে প্রকাশ না করার অভ্যাস। সম্প্রতি শুভানুধ্যায়ীদের অনুরােধ ও অনুপ্রেরণায় প্রকাশ করছেন নিজেকে। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করার পর প্রকৌশলী স্বামী মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার সরিত কুমার লালার সঙ্গে আবুধাবি গমন করেন এবং সেখানে কিছুকাল শিক্ষকতা করেন। '৮৭-তে ঢাকায় ফেরত আসেন এবং স্বৈরাচার বিরােধী আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৬ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর ৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং পুনরায় মধ্যপ্রাচ্যের আবুধাবি গমন করেন এবং শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হন। শৈশব এবং কৈশােরে আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযােগিতায়। দ্বিতীয় হননি কখনাে। জেলা সংগীত প্রতিযােগিতায় পেয়েছেন স্বর্ণপদক। ১৯৯০ সালে বারীণ মজুমদার পরিচালিত 'মনিহার সংগীত একাডেমী থেকে ডিস্টিংশনসহ প্রথম হয়ে বিশ্ববরেণ্য বেহালা-শিল্পী পণ্ডিত ভি.জি. যােগের হাত থেকে নিয়েছেন সনদপত্র এবং পেয়েছেন সংগীত মণি’ উপাধি। '৬৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরই - নিয়মিত তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র এবং টেলিভিশন থেকে নিয়মিত সংগীত এবং - নাটকে অংশগ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘জল্লাদের দরবার’-এ মূল নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং সংগীতে অংশগ্রহণ করেছেন। একই সময়ে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে আমন্ত্রিত হয়ে পরিবেশন করেছেন নজরুল সংগীত। বর্তমানে মাসিক অরিত্র’র নির্বাহী সম্পাদক। প্রকাশিত গ্রন্থ : পারস্য উপসাগরের তীরে (ভ্রমণ কাহিনী), সংহিত সংলাপ (কবিতা গ্রন্থ), নীল সবুজের ছড়া (ছড়ার -বই)।