তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতার নাম মজিবুর রহমান, মাতার নাম খালেদা আক্তার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৮৮ সালে। নব্বই এর দশকে লেখালেখির শুরু। মূলত শিশুদের জন্য কাজ করতে গিয়ে শিশুসাহিত্যকে তার লেখালেখির ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন। শিশুসাহিত্য তাঁর মূলধারা হলেও পাশা মোস্তফা কামাল সমাজ সচেতনতামূলক এবং সমকালীন ছড়ায় সমান অগ্রগামী। সমকালীন ছড়ায় তিনি সমাজের অসঙ্গতি এবং অনিয়মগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তীর্যক ভাষায় সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। দেশাত্মবোধের পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা তৈরিতে তাঁর লেখা অনবদ্য। নব্বইয়ের দশকে যে ক’জন ছড়াকার ছড়াকে সমাজ বদলের শ্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস পান পাশা মোস্তফা কামাল তাঁদের অন্যতম। মাসিক ছোটদের কাগজ ‘ঝুমঝুমি’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তিনি। ২০০১ সালে ছোটদের কাগজ ঝুমঝুমি সম্পাদনা শুরু করেন। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পত্রিকাটি এখন ঢাকার ৪৯/১, পুরানা পল্টন লাইন থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তাঁরই তত্ত্বাবধানে। তিনি এখন ঝুমঝুমির প্রধান সম্পাদক।
নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা থেকে আরেকটু ভেতরে মেঘনাপাড়ের গ্রাম পাড়াতলী। কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস। তবে জন্মেছিলেন ঢাকা শহরের ৪৬ নম্বর মাহুতটুলির বাড়িতে। তারিখ ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর। দশ ভাইবোনের মধ্যে জেষ্ঠ্য তিনি। ১৯৪৮ সালে যখন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর তখন মননের গহীন তল্লাটে কবিতার যে আবাদভূমি গড়ে উঠেছিল, তা কেবল উর্বরই হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নলিনী।কিশোর গুহের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতা। তারপর দে ছুট। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পেয়েছেন আদমজী পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭), সাংবাদিকতার জন্যে পেয়েছেন জাপানের মিৎসুবিশি পদক (১৯৯২), ভারতের আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৪) ছাড়াও বহু পুরস্কার। ডিলিট উপাধিতেও ভূষিত হয়েছেন। ‘মর্নিং নিউজ’-এ সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ১৯৫৭ সালে যে চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন, একই পেশায় থেকে ১৯৮৭ সালে দৈনিক বাংলার সম্পাদক পদ থেকে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন, তবু খেই হারাননি জীবন, সাহিত্য ও কবিতার পাঠ থেকে। মূলত কবি হলেও সাহিত্যে তাঁর কাজ বহুমাত্রিক। অনুবাদ সাহিত্য থেকে গদ্যের বিভিন্ন প্রশাখায় বিচরণ করেছেন তিনি। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট ৭৬ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৭, ঢাকায়। বেড়ে ওঠা ও জীবনযাপন। এখানেই। কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। পড়াশোনা ঢাকা, ওয়েলস ও লন্ডনে। শুরুতে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। আন্দালিব রাশদী কথাসাহিত্যিক। প্ৰবন্ধ লিখেন, অনুবাদও করেন। জন্ম ঢাকায়, বেড়ে ওঠা এবং জীবনযাপন এখানেই। পড়াশোনা ঢাকা, ওয়েলশ ও লন্ডনে। শুরুতে বিজ্ঞানের ছাত্র। আইনে স্নাতক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর। ১৯৯৬ সালে লন্ডনে পিএইচডি করেছেন। আন্দালিব রাশদীর উপন্যাস: কাজল নদীর জলে, হাজব্যান্ডস, পপির শহর, ঝুম্পানামা, অধরা, জলি ফুপু, ম্যাজিশিয়ান, ভারপ্রাপ্ত সচিব, প্রতিমন্ত্রী, কাকাতুয়া বোনেরা, সূচনা ও সুস্মিতা, ট্যারা নভেরা, লুবনা ও কোকিলা, ডোনাট পিলো, কঙ্কাবতীর থার্ডফ্লোর, শিমুর ভোরবেলা, বুবনা। ছােটগল্প : শিমুর বিয়ের গল্প, হুমায়ুন, আন্দালিব রাশদীর বাছাই গল্প, ডায়ানা যেদিন সিঁড়িতে বমি করল, পরিত্যক্ত কেলভিনেটর ফ্রিজের গল্প । প্ৰবন্ধ/অনুবাদ ; আমলা শাসানো হুকুমনামা, ইডিপাস কমপ্লেক্স, লেডি গোদিভা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, তলস্তয়, রেশমা ও রাধিকা, মুন্নিবাই ও এককুড়ি দক্ষিণ এশীয় গল্প, কুমারী, ভাইস চ্যান্সেলর ও অন্যান্য গল্প, খুশবন্ত সিং-১, খুশবন্ত সিং-২। কিশোর সাহিত্য : কোব্বাদ ফ্রায়েড চিকেন, সিক্কাটুলি থেকে ভূতের গলি, ভূত ধরতে সুপার গ্রু, ভূতশুমারি, সিন্দাবাদ (অনুবাদ), রবিনসন ক্রুসো (অনুবাদ), পলিয়ানা (অনুবাদ), ট্যারা মাখনার নোবেল প্ৰাইজ।
জন্ম বরিশাল ১৯৮০। ব্রজমোহন কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক সম্মান (২০০২) ও স্নাতকোত্তর (২০০৪) ডিগ্রি লাভ। ২০০৪ সালে ইউরেকো এঞ্জেল স্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান ঘোষক। ছেলেবেলা থেকে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সদস্য। ১৯৯৫ সালে মনোরমা মানিসা শিক্ষাবৃত্তি লাভ।
এ কে খন্দকার জন্ম ১৯৩০ সালে, বাবার কর্মস্থল রংপুরে । আদি নিবাস পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা গ্রামে। ম্যাট্রিকুলেশন ১৯৪৭ সালে এবং ১৯৪৯-এ ইন্টারমিডিয়েট ।১৯৫২ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেন এবং ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন । স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলে এর প্রতিবাদে তিনি বিমানবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন । ১৯৭৬ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন । ১৯৯৮ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখার জন্য এ কে খন্দকার ১৯৭৩ সালে বীর উত্তম খেতাব এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন ।
জন্ম ২৯ বৈশাখ, ১২ মে ১৯৮৪, সঙ্গলাবার। বাবা নারায়ণ সরকার, মা শোভা সরকার। পিতৃভূমি সিরাজগঞ্জ উপজেলার সরাইদহ গ্রামে। দাদু, মা আর বাবার কাছ থেশে অ আ, ক খ গ, a b c d এবং ১ ২ ৩ ৪ ৫ ..... শেখা। ক্লাস নাইন থেকে ডেবিট-ক্রেডিট পড়তে পড়তে হিসাবজ্ঞিান অনার্স-মাস্টার্স। নিজের নামটা পত্রিকায় পাতায় ছাপার অক্ষরে দেখার লোভেই ছোটবেলা থেকে লেখালেখি শুরু। লেখালেখির নেশা থেকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। একটি জাতীয় দৈনিকে সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত আছে। নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক, ছোটকাগজ, অনলাইন। প্রথম গল্পের বই ‘স্কুল ছুটির পর’ ২০১২ সালের বইমেলায় প্রকাশ হলে ব্যাপক সাড়া পায়। প্রথম বই হিসেবে যতটুকু সাফল্য পাওয়া দরকার পেয়েছিল তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে ৩৭টি।